শ্রীরামপুরের শ্রমজীবী হাসপাতালে নতুন দিশা,শুরু হল ক্যানসার সার্জারি

Spread the love

নিজস্ব প্রতিনিধি,শ্রীরামপুর-সময়ের সাথেই নতুন ভাবনায় এগিয়ে চলেছে শ্রমজীবী হাসপাতাল। ২০১২ সালে পথচলা শুরু করে শ্রীরামপুরের শ্রমজীবী হাসপাতালের।

 

তারপর থেকে প্রতিদিনই কোনো না কোনো সংযোজন ঘটেছে এই গ্রামীণ হাসপাতালে। এখানে ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারী, হাঁটু প্রতিস্থাপনসহ অর্থোপেডিক অপারেশন, লেজার সার্জারি,গাইনি, ই এন টি, জেনারেল সার্জারিসহ বিভিন্ন সার্জারি যেমন হয়, তেমনই চোখের ফেকো সার্জারিও করা হয়। আছে কম্পোনেন্ট সেরারেটরসহ নিজস্ব ব্লাডব্যাঙ্ক। বত্রিশ স্লাইস সি টি স্ক্যান মেশিন, কালার ডপলার, সিআর্ম প্রভৃতি উন্নত যন্ত্রপাতি। এবার এই গ্রামীণ হাসপাতালে সংযোজন হল মুখমন্ডলের ক্যান্সার সার্জারির চিকিৎসা। সম্প্রতি বাটা নগরের বাসিন্দা বছর পঞ্চান্নর সুকুমার রায়ের জিহ্বার ক্যান্সার সার্জারি করা হল । বিগত মাস ছয়েক ধরেই সুকুমারবাবু ভুগছিলেন জিভে ঘায়ের সমস্যায়। ইএনটি চিকিৎসকের পরামর্শে বায়োপসি করে পাওয়া যায় ক্যান্সারের লক্ষ্মণ। সুকুমার বাবু দারস্থ হন, শ্রীরামপুর শ্রমজীবী হাসপাতালে ডাক্তার জন্মেন্জয় চৌধুরী ক্যান্সার চিকিৎসা কেন্দ্রে। অঙ্কোলজিস্ট ডাক্তার শ্যামসুন্দর অধিকারী ও অঙ্কো সার্জেন ডাক্তার কামাক্ষা প্রসাদ দলুইয়ের ত্বত্তাবধানে শুরু হয় চিকিৎসা। সমস্ত পরীক্ষা নীরিক্ষার পরে সফল অপারেশন হয়দুকুমার বাবুর। ডাক্তার কামাক্ষা প্রাসাদ দলুই বলেন, অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে সতর্কতার সঙ্গে অপারেশন করতে হয়েছে। মুখমণ্ডলে অনেক সংবেদনশীল নার্ভ থাকে। তা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তাতে নজর রাখতে হয়। প্রয়োজনে মাইক্রোস্কোপ ব্যবহার করতে হয়। আমরা অপারেশন করে জিভের চার সেন্টিমিটার মতো বাদ দিয়ে দিয়েছি। আশা করা যায় রুগী সুস্থ হয়ে উঠবেন। ডাক্তার শ্যামসুন্দর অধিকারী বলেন,অপারেশনের পর খুব জরুরি সতর্কতার সাথে থাকা । এ সময় রুগী মুখে খাবার খেতে পারেন না। নাক দিয়ে সতর্কতার সঙ্গে খাওয়াতে হয়। চিকিৎসায় খুশি রোগীর আত্মীয়রা। হাসপাতালের সহসম্পাদক গৌতম সরকার বলেন,আমাদের লক্ষ্য মানুষের শ্রমে, ঘামে, আবেগে গড়ে ওঠা এই হাসপাতালে চিকিৎসায় নতুন দিশায় পৌঁছানো।


Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *